
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা তিনটি প্রাইভেট হাসপাতাল জেলা সিভিল সার্জনের ঝটিকা অভিযানে সিলগালা করা হয়েছে।এর মধ্যে বাগআঁচড়া নার্সিংহোম, আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল লিমিটেডে ও জনসেবা ক্লিনিক, এ গুলোতে চিকিৎসা সেবার নামে চলছিল রমরমা গলা কাটা বানিজ্য। গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার নামধারীরা এই হাসপাতাল গুলোর মালিক।
জানা গেছে বছর কয়েক আগে বাগআঁচড়া বাজারে সু-চিকিৎসা দেওয়ার নামে অবৈধ ভাবে প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে বসে এরা এলাকার সহজ সরল নিরীহ রোগীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এইসব ক্লিনিক গুলোর মালিকগণ। আর এই হাসপাতাল গুলো চলতো স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের মসোহারা দিয়ে। ফলে সাধারণ মানুষ টাকা খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাম সর্বস্ত এ হাসপাতাল গুলোতে বছরে অর্থ বানিজ্য হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ১০ বেডের জন্য অনুমতি থাকলেও এসব ক্লিনিকে প্রায় ৪০ বেডের। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই হাসপাতাল তিনটিতে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অস্বাস্থ্য কর পরিবেশের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।সপ্তহে একদিন ডাক্তার সিরিয়াল দিয়ে একের পর এক কসায়ের মত রোগী অপারেশন করে চলে যায়। রোগীদের দেখা শোনা করে তথাকথিত সেবীকারা। রোগী অবস্থা যখন মারাত্বক মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে তখন এ ক্লিনিক তিনটির মালিকরা রোগীকে যশোর, খুলনা অথবা ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফলে রোগী ক্লিনিক ত্যাগ করলেও পরবর্তীতে নানা জটিলতায় ভূগে মৃত্যুর মুখে পতিত হতো। গতকাল সোমবার যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের, ঝটিকা অভিযানে বাগআঁচড়া নার্সিংহোম, আল মদিনা প্রাইভেট হসপিটাল লিমিটেড,ও জনসেবা ক্লিনিক,সিলগালা করে দেয়।
যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী, এ্যাডিশনাল অফিসার আরিফ।
Please follow and like us: