
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আয়োজনে জনসভা আগামি বুধবার কালেম গ্রামে প্রস্তাবিত নজির আহমেদ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভা স্থলের ২শ’ মিটার দূরে প্রস্তুত হচ্ছে আরেকটি জনসভা মঞ্চ। উপজেলা বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরী। অপর জনসভায় প্রধান অতিথি বিএনপি সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠেছে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপি ও আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার নেতাকর্মীদের মাঝে। রবিবার রাতে জনসভা স্থলে উভয় পক্ষকে মহড়া দিতে দেখা গেছে। সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বিএনপির সভা মঞ্চের পাশে অবস্থিত স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভাতে এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এঘটনায় সোমবার দুপুরে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা বিএনপি নেতা শাহ আলম ভূঁইয়া।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আমাদের জনসভা হবে। ওই স্থানে কোন অফিস নেই, আগুন দেয়ারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। নজির আহমেদ ভূঁইয়ার কোন জনবল নেই, প্রশাসন দিয়ে আমার পূর্ব নির্ধারিত জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করছে। আমার জনসভায় ৫০ হাজার লোক হবে। নজির-মোবাশ্বেরের ১ভাগ ভোটও নেই, তারা কিভাবে আমার জনসভা ঠেকাবে?
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আলহাজ্ব নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশে পূর্ব নির্ধারিত উপজেলা বিএনপির জনসভা আগামী বুধবার। হট্টগোল ও বিশৃংখলা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের সভার স্থলের ২শ’ মিটার এলাকার মধ্যেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মদদে আরেকটি সভা ডেকেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কার সাথে আঁতাত করে ধানের শীর্ষকে পরাজিত করা আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো পালিয়ে যাওয়া হাসিনার দোসরদের জনসভা বন্ধ করে আমাদের জনসভা করার ক্ষেত্রে যেন সহযোগীতা করে। এছাড়াও ওই কুচক্রি মহল রবিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে, এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে যাচাই বাচাই চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিকালে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উভয় পক্ষকে আলাদা-আলাদা স্থানে জনসভা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে বারবার বুঝাচ্ছি, এখন তারা বুঝতে না চাইলে আমাদের কি করার আছে? তারপরও আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি, দেখা যাক।