
বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর অতুলনীয় শান ও মর্যাদা নিয়ে মনোমুগ্ধকর আলোচনার মাধ্যমে আহমদীয়া মুসলিম জামাত, বছড় জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সীরাতুন্নবী (সা.) জলসার আয়োজন করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুইটি অধিবেশনে সুন্দরবনে আহমদীয়া মসজিদের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সিরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জলসা।
জুমুআর নামাজের পর জলসার প্রথম অধিবেশন বিকাল ৩টায় আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের সেক্রেটারী তবলীগ জনাব মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলীর সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জলসার কার্যক্রম শুরু হয়। এ অধিবেশন চলে ৫টা পর্যন্ত। এরপর মাগরিব ও এশা নামায শেষে জলসার দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায় আহমদীয়া মুসলিম জামাত, সুন্দরবনের আমীর জনাব জি এম সাব্বির আহমদের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
জলসায় মহানবী বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উত্তম জীবনাদর্শ এবং অতুলনীয় শান, মোকাম ও মর্যাদা বিষয়ে পর্যায়ক্রমে প্রাণসঞ্চারী বক্তব্য রাখেন মওলানা শাহ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, মওলানা কাশেম হোসাইন, মওলানা শাহ এহসান উদ্দিন, জনাব জি এম ফিরোজ আহমদ বাপ্পি এবং জনাব জি এম সাব্বির আহমদ।
জলসায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-৮নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জনাব মুহাম্মদ আব্দুল জলিল এবং বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ আব্দুল করিম প্রমুখ।
বক্তাগণ মহানবী (সা.) এর অতুলনীয় জীবনাদর্শ তুলে ধরে বলেন- বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী (সা.)-এর প্রেম-ভালোবাসা, দয়া এবং তার পবিত্রকরণ শক্তির প্রভাবে আরবের পশুসুলভ মানুষকে ফেরেশতায় রূপান্তর করেছিলেন এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার হৃদয় তিনি জয় করেছিলের।
শ্রেষ্ঠনবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমেই যে কেবল মুক্তি লাভ সম্ভব এ বিষয়টিও তারা পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে তুলে ধরেন। শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জলসায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আহমদীয়া সদস্যরা ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শের ওপর এত সুন্দর আলোচনার আয়োজন করায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আহমদীয়া মুসলিম জামাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন।