
বাগেরহাটে আওয়ামী দখলদারের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী আমির আলীর বসতভিটা ভোগ দখলে কথার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের নওয়াপাড়া এলাকায়। নিজের বসতভিটা ও জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারটি।
ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী আমির আলী জানান, ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের নওয়াপাড়া
মৌজায় ১-৩৪ একর জমিতে আমার বাবা হাবিবুর রহমান খান আমাদের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। ২০১৩ সালে পিলজংগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোড়ল জাহিদুল ইসলাম আমাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে। আমাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করে আমার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বাড়ী দখল করে নেয় এবং আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এই অত্যাচারী ভূমিদস্য জাহিদুল মোড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় তার অত্যাচারে বিরুদ্ধে আমরা কোথাও প্রতিকার পাই নাই।
প্রতিবন্ধী আমির আলী আরো জানান, আমাদেরকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার পরে তারা স্কেভেটর দিয়ে জমির মাটি কেটে ইট ভাটার কাছে বিক্রি করেছে। আমরা জমি ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে গেল ২৫ মার্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। এর পরে আমরা জমি বুঝে নেওয়ার জন্য এখানে কাজ শুরু করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ মোড়ল বিভিন্ন লোক দিয়ে এখনও আমাদের নানাভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করছে। তারা এখন সংখ্যালঘু নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা তাদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে চাই ও আমরা যেকোন মূল্যে আদালতের রায় অনুযায়ী আমাদের জমি ভোগ দখল করতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই জমিতে এক সময় খান হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার বসবাস করতেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মোড়ল পরবর্তীতে এই জমি দখলে নেয়। কিভাবে নেয় জানি না, তবে আমরা দেখেছি দীর্ঘদিন খান হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার এই জমিতে বসবাস করতেন। যতদূর জানি নিলাম খরিদার মাধ্যমে এই জমির মালিক হয়েছিলেন খান হাবিবুর রহমান।
এ বিষয়ে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ মোড়লের পরিবারের সদস্যরা জানান, এই জমি তারা ক্রয় করেছেন। মামলায় যদি আমির আলী ও তার পরিবার রায় পায় সে ক্ষেত্রে আইনগতভাবে বিষয়টির সমাধান করার কথা বলেন তারা।
Please follow and like us: