আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)সংবাদদাতাঃ- আনোয়ারায় পরিত্যক্ত জমিতে মাছচাষ করে অহেতুক রোষানলে পড়েছে জামাল নামে এক ব্যবসায়ী। উপজেলার রায়পুর ইউয়নিয়নে পারকি তে বহুদিন যাবৎ পরিত্যক্ত জমিতে মৎস্য চাষ করলে একদল মানুষের রোষানলে পড়ে ব্যবসায়ী জামাল। জায়গার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,আমাদের জায়গাগুলো কয়েক বছর ধরে চাষাবাদ হচ্ছে না, আর চাষাবাদ হলেও যে খরচ হচ্ছে তা উৎপাদন করে খরচ তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।তাই আমরা এলাকার সৌখিন মানুষ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের কাছে এসে জায়গাগুলো মাছচাষ করার প্রস্তাব দিলে তিনি জায়গার মালিক সকলে এক সাথে দিতে রাজি হলে মাছচাষ করার সম্মতি দেন।পরবর্তীতে প্রায় ২০জন জায়গার মালিককে নিয়ে বৈঠকে বসে আলোচনা করে সকলের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে এক বছরের জন্য লাগিয়তির চুক্তিবদ্ধ হন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।পরে ঐ ব্যাবসায়ী জায়গাগুলোকে মাছ চাষের উপযোগী করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেন।এমন্তোবস্থায় এলাকার কিছু মানুষ এই ব্যবসায়ীকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য কয়েকজন লোককে জায়গার মালিক সাজিয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি আবেদন করেছে বলে জানাযায় এবং কিছুু অনলাইন ও পত্রিকায় ফসলী জমিতে জোর করে মাছচাষ হচ্ছে এমন সংবাদ প্রচার করলে ঐ ব্যবসায়ীর দৃষ্টিগোচর হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পারকী বাজারে জায়গার মালিক ও মাছচাষ কারী জালালউদ্দীনের পক্ষে শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন।এই সময় জায়গার মালিকরা বলেন,আমাদের জায়গাগুলোতে কোনো চাষবাদ না হওয়াতে সেচ্ছায় মাছচাষের জন্য চুক্তিকরে লাগিয়তি করি এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই এবং এই অবস্থায় মাছচাষকারী বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিলে এই ব্যবসায়িকে ভিখারী হয়ে যেতে হবে কারণ তার অনেক টাকা এখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। জায়গার লাগিয়তী নেওয়া ব্যাবসায়ী জালালউদ্দীন বলেন, এলাকার মানুষেরা তাদের জায়গাগুলোতে মাছচাষ করার পরার্মশ দিলে আমি রাজী হয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিনিয়োগ করে জায়গাগুলোতে মাছচাষ শুরু করি। অহেতুক এলাকার কিছুু মানুষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত জায়গার মালিকরা মানববন্ধন করেছে। ঐ ব্যাবসায়ী আরো বলেন, আনোয়ারা বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্যা জায়গা এখনো পরিতাক্ত আছে এগুলোর পক্ষে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নাই। অথচ আমি মাছচাষ করায় হিংসার রোষানলে পড়ছি। এ ব্যপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, সেচ্ছায় কেউ যদি জায়গা লাগিয়তি করে আমাদের করার কিছুু নেই। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সাইদুজ্জামান সাহেবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি তদারকি করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।