হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে বৈধভাবে ককাটেল ও ম্যাকাও আমদানি করা পাখির চালানের নাম করে দেশে আনা হচ্ছিল অননুমোদিত সাতটি লাফিং কুকাবুরা । অন্যান্য পাখির সাথে অবৈধভাবে আনা সাতটি পাখিকে জব্দ করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাখিগুলোকে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।বুধবার পাখিগুলোকে রাখা হয় বন্য প্রাণী কোয়ারেন্টিনে। পাখিগুলো হস্তান্তর করেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।
পার্কসূত্রে জানা যায়, কুকাবুররা কিংফিশার পরিবারের অর্ন্তভুক্ত, তাদেরকে দৈত্য কিংফিশার বলা হয়। এই প্রজাতির সমস্ত পাখি শিকারী, বিভিন্ন বর্ণের রঙ, শক্তিশালী চঞ্চল এবং পাঞ্জা রয়েছে। গড়ে, তারা ২০ বছর বেঁচে থাকে তবে চিড়িয়াখানায় অনুকূল পরিস্থিতিতে তারা পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় বাচতে পারে। এগুলো দেখতে অনেকটা মাছরাঙার মতো। তবে লাফিং কুকাবুরা আকারে মাছরাঙা থেকে অন্তত চার গুণ বড়। গায়ের রং সাদা-কালোর মিশ্রণ।
লাফিং কুকাবুরা একটি ব্যতিক্রমী মাংসাশী পাখি। এরা বিভিন্ন ইঁদুর, ব্যাঙ, শিং মাছ, ছোট পাখি শিকার করে। সাফারি পার্কে পাখিগুলোকে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে শিং মাছ।
ঢাকার সিনান বার্ড ফার্মিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাখিগুলো অবৈধভাবে আমদানি করেছে। মূলত ককাটেল ও ম্যাকাও পাখি আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়। পরে সেই অনুমতি নিয়ে অন্যান্য পাখির সঙ্গে সাতটি লাফিং কুকাবুরা পাখি আমদানি করে। পাখিগুলো ধরা পরায় ঐ পতিষ্ঠানকে জরিমানা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ পাখিগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে, তারপর তাদেরকে বাসযোগ্য উপযুক্ত পরিবেশে স্থানান্তর হবে