নয়া আলো ডেস্কঃ- নারায়ণগঞ্জে কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কোচিং এর নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
টাকা দিয়েছেন এমন সোমবার একজন এই মামলা করেন। বাদীর নাম মোহাম্মদ স্বদেশ। তার বাড়ি বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদি চাঁনপুর এলাকায়।
যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহকারী উপ-পরিদর্শক সাহাবুদ্দিন এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর কলাগাছিয়ার নিশং এলাকার বাদশা মিয়া।
মামলায় বলা হয়, কনস্টবল পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে চার লাখ করে টাকা নিয়েছেন দুই জন।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম শাহীন ম-ল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ আছে।
দেশজুড়ে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগে পরীক্ষা চলছে। নারায়ণগঞ্জে নিয়োগ পাবেন ১৭৪ জন পুরুষ এবং ৩১ জন নারী।
এই জেলায় শারীরিক পরীক্ষা নেয়া হয় গত শনিবার। আর এই পরীক্ষাকে সামনে রেখে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাইতুল্লাহ মসজিদের পূর্বপাশে গ্যালাক্সি স্কুলের ভেতরে প্রত্যাশা নামে কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন। এতে সহযোগীতায় ছিলেন বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা দেলোয়ার প্রধান।
কোচিং সেন্টারে ২০ থেকে ২৫ জনকে ভর্তি হন। তাদের সবাইকে চাকরি দেয়া হবে নিশ্চয়তা দিয়ে টাকা নেয়া হয়। এদের মধ্যে আছেন মলি আক্তার, বিজয়, মো. গিয়াস, মোস্তাকিম, সোহাগ, রোবেল, মনির, স্বদেশ, সোহাদ হাসান।
গত রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেই অভিযানে নামে জেলা পুলিশ বাহিনী। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভর্তি হওয়া ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিবারের মুচলেকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।