খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চুকনগর শহরের গোলাম রোডের শোলাকুড়ের খাল খনন করায় ওই এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। মুক্তি পেয়েছে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে। এলাকা থেকে দূর হয়েছে দুর্গন্ধ।
জানা যায় , উপজেলার চুকনগর শহরের গোলাম রোডের শোলাকুড়ের খালটিতে দীর্ঘদিন ধরে শহরের ময়লা আর্বজনা ফেলানোর কারণে ভরাট হয়ে যায়। এতে পচা ও দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে ঐ এলাকায় বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া অবিরাম বর্ষনের ফলে গোলাম রোডে বসবাসকারী প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী ছিল। খালটিতে ময়লা ও আর্বজনা ভরাট থাকায় নরনিয়া, আটলিয়া ও রোস্তমপুর গ্রামে পানি উঠে গিয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করার সংকট দেখা দেয়। এ বিষয় বিবেচনা করে ও এলাকার হাজার হাজার জনগনের দাবির কারনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় খালটি খননের উদ্যোগ গ্রহন করে। ফলে গত ১আগষ্ট নরনিয়া শোলাকুড়া ও হাতিপোতা ডাঙ্গির বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খালটি খনন করা হয়। খালটি খননে মানুষের রাস্তা চলাচলে একটু অসুবিধা হলেও মাত্র ১৩ দিনের মাথায় মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে। গত ১৩দিনে কয়েকটি বিলের হাজার হাজার বিঘা জমির পানি সরে গিয়ে ধান চাষে উপযোগী হয়ে উঠেছে। গ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। খালটি পূর্ণরায় খনন করায় এলাকা থেকে পচা ও দূর্গন্ধ দূর হয়ে বসবাস উপযোগী হয়েছে। বলা যায় খালটি খনন করায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। ১১আগস্ট বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ও কৃষি অফিসার খনন করা খালটি পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ২০১৮ সালে আমরা খালটি খনন করেছিলাম। তখন এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করেছে। কিন্তু গত ২/৩ বছরে খালটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরে ফেলে। ফলে তা পচে প্রচন্ড দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ঐ এলাকায় বসবাস করা বা রাস্তা চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সে কারণে এলাকার জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা খালটি খনন করেছি।
Please follow and like us: