২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • হরেক-রকম
  • চুকনগরে দীর্ঘ ৩০বছর ধরে গান গেয়েই জীবন চলে অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাসের।




চুকনগরে দীর্ঘ ৩০বছর ধরে গান গেয়েই জীবন চলে অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাসের।

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর.খুলনা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : অক্টোবর ০৯ ২০২১, ১৬:১৩ | 923 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

পাঁচটি টাকা দাও না ওভাই পাঁচটি টাকা দাও না। ১শ টাকা ৫শ টাকা হাজার টাকা চাই না। এ দুনিয়ার সবারই’তো আছে ক্ষুদার জ্বালা, আমায় একটু দয়া করো ওবাপ পয়সা ওয়ালা। এই দয়াতে বেঁচে যাবে আমার দুটি সোনা। পাঁচটি টাকা দাও না ওভাই পাঁচটি টাকা দাও না। ১শ টাকা ৫শ টাকা হাজার টাকা চাই না। এভাবেই দীর্ঘ ৩০বছরটি ধরে পথে পথে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। কেঁদে কেঁদে গান গেয়ে পথচারীদের মন জয় করেই বেঁচে আছে পরিবারের তিন অন্ধ ভাইসহ ৮জনের একটি বড় পরিবার।
ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের পরিমল দাসের পুত্র অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাস (৪০) বলেন, জন্ম সূত্রে তিনি অন্ধ। তার আরও ২ভাই দিপংঙ্কর দাস (২০) ও শুভংঙ্কর দাস (১৪) জন্ম সূত্রে অন্ধ। তিন অন্ধ ভাইয়ের সংসারে একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি তার বৃদ্ধ পিতা। তার উপার্জনে তাদের সংসার চলে না। অন্য কোন কাজ করার সক্ষমতা না থাকায় তিনি ১০বছর বয়স থেকে গান গেয়ে টাকা উপার্জনের পথ বেছে নেন। এরপর একুশ বছর বয়সে বিবাহের পর পল্লব দাস(৬) ও পার্থ দাস (৪)নামে তার ঘর আলোকিত করে দুই ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। একারণে অভাব অনটনের কারণে ৩০টি বছর ধরে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে তিনি উপজেলার চুকনগর, আঁঠারমাইর, কাঁঠালতলা ও খর্ণিয়া বাজার সহ কয়েকটি বাজারের রাস্তার উপর বসে গান গেয়ে পথচারীদের মন জয় করার চেষ্টা করেন। গান শুনে অনেকে খুশি হয়ে তাকে ১/২ টাকা করে যা দেয়। তাতে প্রতিদিন প্রায় ১শ থেকে ২শ টাকা তার উপার্জন হয়। সেই টাকা দিয়ে স্ত্রী, ২পুত্র, পিতামাতা ও অন্ধ ২ভাই মোট ৮জনের সংসার কোনক্রমেই চলে। কিন্ত বর্তমানে তিনি এই অন্ধ চোখ নিয়ে গান গান গাইতে গাইতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তারপরও অভাবের এই সংসারে একদিন পথে বসে গান না গাইলে পুরো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হয়। তাই নিরুপায় হয়ে তিনি আজও পথচারীদের মনোরঞ্জনের জন্য গান গেয়ে চলেছেন। তবে তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আজ তিনি বড়ই ক্লান্ত। অসুস্থতাসহ নানা কারণে আর হয়তো বেশিদিন তিনি গান গাইতে পারবেন না। তখন তার পরিবারের কি অবস্থা হবে কে নিবে তাদের দায়িত্ব। এই কথা বলতে বলতে তিনি কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন, অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাসের ঘর বাড়িরও বেহাল দশা। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেষ্টায় কাঁঠালতলা আশ্রয়ন প্রকল্পে তার পরিবার নিয়ে থাকার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। তবে তার জন্য আরও কিছু আমাদের করা প্রয়োজন।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET