
ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহারের পর বিরুপ প্রভাব পড়েছে রফতানী বাণিজ্যে। এই ট্রানজিট ভারতীয় ভূখন্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে পারত বাংলাদেশী রফতানিকারকরা।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে ৪টি রফতানী পণ্য বোঝাই ট্রাক রফতানি কারক ফেরত নিয়ে যায় ঢাকায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জারি করা সার্কুলার নং ১৩/২০২৫-কাস্টমস এর মাধ্যমে কার্যকর হওয়ায় বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত ও স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত যাওয়া পণ্যের রফতানিকারক ডিএসভি এয়ার এন্ড সি লিঃ প্রতিষ্টান। যার ট্রাক নাম্বার যশোর ট ১১-১৮০২, ঢাকা মেট্রো ট ১১-৯২২১, ঢাকা মেট্রো ট ২০-৪৪৬০ ও ঢাকা মেট্রো ট ২০-১৩১২ ট্রাক ফেরত গেছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা বন্ধের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রনালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এ চিঠির আলোকে ট্রানজিট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।পন্যবাহী ট্রাক গুলো ঢাকার রপ্তানি কারক ডিএসভি এয়ার এন্ড সি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের ছিল।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহাসিন মিলন জানান, ভারত সরকারের এধরনের সিদ্ধান্ত দুই দেশের বানিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক্যে টানপড়ন তৈরী হবে। আমরা আশা রাখছি ভারত সরকার তাদের আক্রশ মুলক সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্ব সম্পর্ক্য ধরে রাখবেন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারত সরকার ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় বেনাপোল থেকে ৪টি রফতানি পণ্য বোঝাই ট্রাক ফেরত গেছে। এতে রফতানি বানিজ্য বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে ঐসব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছেনা। তবে ভারত অভ্যন্তরে রফতানির উদ্দেশ্যে আসা অনান্য পণ্যের রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
Please follow and like us: