বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর:- কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ছুপুয়া গ্রামে স্ত্রী সাজেদা বেগম ও বেড়াই তাজুল ইসলাম কর্তৃক প্রবাসী খোরশেদ আলম (৫৫) হত্যা মামলার অন্যান্য খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে স্থানীয়রা। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলার ছুফুয়া বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এতে ওই গ্রামসহ পাশ্ববর্তী গ্রামের কয়েকশ’ নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করে।
দীর্ঘ ৪ মাসেও খোরশেদ আলম হত্যা মামলার কয়েকজন খুনি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ করে ওইসব খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও খুনি তাজুল ইসলাম বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় ঘুরাফিরা করছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেছে বলে এলাকায় প্রচার করছে। এছাড়াও প্রবাসী খোরশেদের অপর এক খুনির যোগসাজসে মৃত খোরশেদের সম্পত্তি বিক্রির পায়তারা করছে। একইভাবে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার ও ৫ খুন মামলার আসামী আবুল কালাম খোরশেদের খুনির সাথে যোগসাজশ করে তাঁর একটি ধানি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে একই গ্রামের মেম্বার একরামুল হক, আবদুস সাত্তারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মামলা হামলায় জড়ানোর হুমকি দমকি দিচ্ছে।
ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য একরামুল হক, আবদুস সাত্তার, নিহতের বোন নাহার বেগম, হাজী মোকছেদুর রহমান, আবুল বাশার, আবদুল খালেক, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আহসান উল্লাহ, আলমগীর হোসেন, আবদুল মান্নান, হান্নান মিয়া, নিহতের স্বজন ও ছুফুয়া বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এামলার ২য় তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, এ মামলায় জড়িত ৩ আসামী কারাগারে রয়েছে। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর আমি কক্সবাজারে বিশেষ ডিউটিতে রয়েছি। সেখান থেকে এসে বিস্তারিত জানাবো।
উল্লেখ্য, প্রবাসী খোরশেদ আলম গত বছরের ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হন। এরপর ৭ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাড়ীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামী প্রবাস থাকার সুযোগে নিজের মেয়ের শশুর একই গ্রামের যৌবন আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম সাথে পরকীয়া প্রেম ও আর্থিক লেনদেনের জের ধরে তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় স্ত্রী সাজেদা বেগম। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম, একই গ্রামের মো. মাহবুবুল হকের ছেলে মো. ফারুক (২০) ও অলিপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. শাহীনকে (১৯)কে গ্রেফতার করে কুমিল্লার আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করে কারাগারে পাঠিয়েছে।