
নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফেনী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর এমপি পদে থাকা নিয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে তার এমপি পদে থাকতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন। গত মঙ্গলবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১লা মার্চ দিন নির্ধারণ করে আদালত। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ)& দুপুরে উচ্চ আদালত এমপি নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ ঘোষণা করার সংবাদ পেয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে পৌর শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন, পাঠাননগর ইউপি’র চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল, পৌর কাউন্সিলর হবিবুর রহমন হাবিব, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী খোকন, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ’র সভাপতি জিয়াউল হক দিদার, পৌর ছাত্রলীগ’র সাধারণ সম্পাদক নুর মোঃ ননী প্রমুখ।
এমপি নিজাম হাজারীর এ মমলায় আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনান করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মন্ডল। এ রুল শুনানি করতে বেশ কয়েকবার হাইকোর্টের বেঞ্চ বিব্রত বোধ করেন। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চে মামলাটি কার্যাতালিকায় ওঠেন। এরপর কয়েক দিন শুনানিও হয়। নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের বিভক্ত রায় দেয় বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন। পরে কয়েকটি একক বেঞ্চ ঘুরে মামলাটি বিচারপতি ফরিদ আহমেদের কাছে পাঠানো হয়।
Please follow and like us: