উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় কর্তৃক একটি গণসচেতনতামূলক শিক্ষাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় নড়াইল সদরের শাহাবাদ মাজীদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী আলোচনায় অংশ নেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক জনাব মোঃ নুরুন্নবী ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর জনাব বিদ্যুৎ বিহারী নাথ। উপস্থিত ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপপরিদর্শক জনাব অপূর্ব বিশ্বাস, সিপাই দীপঙ্কর ম-ল, মহিবুল ইসলামসহ আরো অনেকে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপপরিদর্শক জনাব অপূর্ব বিশ্বাসের সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক জনাব মোঃ নুরুন্নবী এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীদের নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বিজয় টেলিভিশনের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জামী, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন মোল্যা (বাগডাঙ্গা), দৈনিক ভোরের বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ,একই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান শাওন, চ্যানেল নাইন ও বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোরের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন, মাদকের আগ্রাসনে আমাদের কোমলমতি শিশুরাও আর নিস্তার পাচ্ছে না। পবিত্র কুরআন শরীফে মদপান করাকে গুনাহের কাজ হিসেব চিহ্নিত করা আছে। আমরা হারাম ও হালাল কাজের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। হারাম দ্রব্য গ্রহণ করলে তোমরা আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হবে। তাই মাদকদ্রব্য পরিহার করে নেক আমল কর, সুন্দর জীবন যাপন করো। পরিদর্শক জনাব বিদ্যুৎ বিহারী নাথ বলেন, “তোমরা কেউ কি ডাক্তার হতে চাও? কিন্তু মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে যে তোমরা তা কখনোই হতে পারবে না! কেন পারবে না জানো? কারণ, মাদকদ্রব্য গ্রহণে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পাবে, কোনো কাজেই মনোযোগ ধরে রাখা যাবে না, ফুসফুস ও হৃদপি- ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দৃষ্টিক্ষমতাও কমে যায়, মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। এমনকি যৌনক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়।মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে মুখে গন্ধ হয়, মানুষ স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে না। শরীরে শক্তি থাকে না। ঘুম হয় না।ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। হাতপা কাঁপতে থাকে।এমন যদি হয়, তবে তোমরা ডাক্তার হলেও তো কোনো মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে না! পত্রি কুরআন শরীফের সুরা আল মায়ীদা ৯০-৯১ এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, মদ পানকে সৃষ্টিকর্তা সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশাদ্রব্যই মাদক, আর প্রত্যেক নেশাদ্রব্যই হারাম’ । এখন তোমরাই বলো, তোমরা কি হারাম গ্রহণ করবে? এখনো সময় আছে, সতর্ক হও আগেই মাদককে না বলো!” এছাড়াও উপস্থিত ছাত্রী ও শিক্ষকগণকে মাদকবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার জনাব নুরুন্নবীকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বাধাই পোস্টার ও শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে মাদকবিরোধী শ্লোগান সম্বলিত মগ প্রদান করা হয়। জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক জনাব বিদ্যুৎ বিহারী নাথ ছাত্রীদের উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।