
সাম্প্রতিক সময়ে টিকটক, লাইকি, ভিগো, ফ্রী ফায়ার,ও পাবজি গেম বন্ধ করার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে টিকটক হৃদয়ের নারী পাচার কেলেঙ্কারি ও ১০০কোটি টাকা অর্থপচারের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাই প্রযুক্তি বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণই হতে পারে একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও সকলের সামর্থের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য করতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং আমাদের দাবি। এ মাধ্যমগুলি আমরা শুরু থেকেই বন্ধ না করে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে দাবি তুলে আসছি।
তিনি আরো বলেন, এ মাধ্যমগুলি ছাড়াও বর্তমানে ইমোতে যৌন ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে, অন্যদিকে অপেরা মিনি, ভিপিএন জনপ্রিয় ফেসবুকেও যৌন অশ্লীলতা ও মাদকের হাট রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে সব মাধ্যম কি বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমান প্রযুক্তির ব্যবহার একক মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। অতএব বন্ধ না করে আমাদের চলচ্চিত্রেরও মুক্তির পূর্বে সেন্সরবোর্ডের অনুমতি নিতে হয়। অথচ সেন্সরবোর্ডের বর্তমানে কোন কাজ নেই কিন্তু ওটিভি প্ল্যাটফর্ম গুলিতে চলছে রগরগে অশ্লীল চলচ্চিত্র। তাই সেন্সর বোর্ডকে প্রযুক্তিবান্ধব করে বিটিআরসির সাথে সকল যোগাযোগ মাধ্যমকে সেন্সর এর আওতায় আনা গেলে বা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেকাংশেই অপব্যবহার বন্ধ করা যাবে। তাছাড়া সরকার ও অপারেটরদের জন্য সচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।