৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু ॥

মোঃ আবু শহীদ, ফুলবাড়ী,দিনাজপুর করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১৩ ২০২৪, ২১:৫৩ | 625 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ৬দিন বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৩২মিনিট থেকে ১নং ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও তা থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়,যা জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৮০০-৯০০মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন পড়বে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫২৫ মেঘাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট হলেও বেশিরভাগ সময়ই দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়,বাকি একটি বন্ধ থাকে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় ২৭৫ মেগওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন। যা থেকে ১৯০-২০০ মেগোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এরপর শুধুমাত্র ১২৫ মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল, ৬০-৬৫ মেঘাওয়াট । এদিকে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩য় ইউনিটটির উৎপাদন শুরু হয়। যা দুই দিন পরেই ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরোপুরি বন্ধ হয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।

তৃতীয় ইউনিট চালুর দিন ১ নম্বর ইউনিটটি সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে কোনো ‘বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছিল না। এতে করে উত্তরের আট জেলা লোডশেডিং এর কবলে পড়ে। জানা গেছে ৫২৫ মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন কার্যক্রম করেন চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল। পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক, কেন্দ্রটির উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেনি চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বার বার ত্রুটি দেখা দিলেও সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিনুদ্ধে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। ৯সেপ্টেম্বর ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ায় ৩ নাম্বার ইউনটটি বন্ধ হয়ে যায়। ১ নম্বর ইউনিটটি বহুদিনের পুরনো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে সংস্কার কাজের জন্য সেটিও বন্ধ করা হয়েছিল। মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩২মিনিট থেকে ১নম্বার ইউনিটটি চালু করা হয়েছে। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও তা থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগোয়াট বিদুৎ উৎপাদন হয়। যা জাতীয় গ্রীডে যোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে, তারা ১৫দিন সময় চেয়েছে। চিন থেকে মেশিন এলেই ৩নম্বর ইউনিটও চালু করা সম্ভব হবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET