মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার এখন দারুন বেকায়দায় রয়েছে। বন্দী খালেদা জিয়ার জন্য প্রতিদিন ১০ লক্ষ ভোট বিএনপির একাউন্টে জমা হচ্ছে অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ ভোট মাইনাস হচ্ছে। তারা যতদিন খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখবে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া তত বেশী জনপ্রিয় হবে। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবিবারের মধ্যেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনী লড়াই এবং পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চরম ভয় পায়। আর সে কারনেই আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি হাস্যকর মামলায় তাকে কারাদ- দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ তাদের এই মামলার যে বক্তব্য তারা দিচ্ছে সেই বক্তব্য বিশ্বাস করে না। জনগণ জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কত বেশী জনপ্রিয়। তিনি যতবার নির্বাচন দাঁড়িয়েছেন কেউ তাকে পরাজিত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সবসময় ভিন্ন পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। ১/১১’র সময় যখন মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলে দেশের শীর্ষ দুই নেত্রী কারাগারে ছিল সেই সময় আমাকেও কারাগারে নেয়া হয়েছিল। অথচ আপনারা দেখেছেন একজন আপোস করেই ক্ষমতায় বসে গেছেন। সেদিন যদি বেগম খালেদা জিয়া আপোস করতেন তাহলে আজকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারতেন না। আমাদের নেত্রী কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। এবারও তিনি আপোসহীন নেত্রী হিসেবেই কারাগারকে বেছে নিয়েছেন। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি আমাদেরকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেছেন আমরা যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। নেত্রীর নির্দেশেই বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে। বর্তমানে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৫২ তে ভাষা আন্দোলন করেছি। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আজকে সেই চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করে বর্তমান সরকার দেশকে অরাজকতায় পরিণত করেছে। এখানে কেউ স্বাধীন নয়। গুম-খুন, সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রতিটি মুহুর্ত কাটাতে হচ্ছে। ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে এখন রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবিলম্বে গণতন্ত্রের পথে ফ্যাসিবাদী সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০.০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ প্রতিবাদ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি ও খালেদা মুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী’র সভাপতিত্বে ও খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের সহ সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের উপদেষ্টা, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের উপদেষ্টা, সাবেক এম.পি শিরীন সুলতানা, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মুক্তি পরিষদের উপদেষ্টা কাজী রফিক, প্রাক্তন ছাত্রদল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলী আকবর চুন্নু, মুক্তি পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আবুল হোসেন, উপদেষ্টা মোফাজ্জল হোসেন স্বপন, মুক্তি পরিষদের সহ সভাপতি ব্যারিস্টার মেজর (অব.) সরোয়ার হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মুক্তি পরিষদের সহ সভাপতি এড. রফিক শিকদার, মুক্তি পরিষদের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, সহ সভাপতি বাবু সুরঞ্জন ঘোষ, সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তি পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক এম.আহমেদ খান মন্টু, মুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু ইউনুস লিটন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আজহার পাঠান, মহিদুল ইসলাম মামুন, মো. মিন্টু প্রমুখ।