বাগেরহাট-২ (কচুয়া ও সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে জেলা সদরের ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। হাকিমপুর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাএম এ এইচ সেলিম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন,, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম, মেজর জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, মেহেবুবুল হক কিশোর, শেখ মাহবুর রহমান টুটুল, শ্রমিক নেতা সরদার আতিয়ার রহমান, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিকদার নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান, গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, বাবলা হালদার, হারুন শেখ, আবু হানিফ শানু, ফকির মাসুম বিল্লাহ, আল মামুন টিপু, শেখ মহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সিয়াম প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাগেরহাট সদর উপজেলা ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। তারা এম এ এইচ সেলিমকে আবারও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার অনুরোধ জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফকির তারিকুল ইসলামের সহধর্মিনী লন্ডন প্রবাসী মিসেস মনিরা ইসলাম, অ্যাডভোকেট শেক আসাদুজ্জামান, মিনা মারুফুজ্জামান রনি, রনবিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ কবির হোসেন, মলিদা আক্তার, রেহেনা পারভীন, পাইক সাইদুর রহমান, আলম মোল্লা, খাদেম নিয়ামুল কাদির বিলু, খান জাকির হোসেন কবির, এম এ এই সেলিমের দুই পুত্র মেহেদী হাসান প্রিন্স ও সামিট হাসান সহ বিভিন্ন শ্রেণীর নাগরিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ এইচ সেলিম বলেন, বাগেরহাটবাসীর চাওয়ায় আমি সংসদ সদস্য হলে একটি মেডিকেল কলেজ করব, জেলা স্টেডিয়ামের পাশে মেডিকেল কলেজের জন্য জমি ক্রয় করা রয়েছে। কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকায় থাকা মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করা হবে। এছাড়া বাগেরহাটবাসীর উন্নয়নে আমার আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে, আগামীতে সংসদ সদস্য হলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাগেরহাটে নিহত ৬ শহীদ পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষনা দেন সাবেক সংসদ সদস্য এমএ এইচ সেলিম। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এসব পরিবারের কাছে এই টাকার চেক হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিলভার লাইন গ্রুপের মালিক বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ এইচ সেলিম ৯০ এর দশকের শেষ দিকে বাগেরহাটের রাজনীতিতে আসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই প্রভাবশালী নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনকে হারিয়ে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন মুনিগঞ্জ সেতু, শহররক্ষা বাধ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে তাকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে তেমন দেখা যায়নি, বাগেরহাটেও তেমন আসেননি। ১৮ বছর পর ২৫ নভেম্বর তিনি বাগেরহাটে আসেন।
Please follow and like us: