রিমন পালিত, বান্দরবান প্রতিনিধি :- বান্দরবানের লামায় মোটরসাইকেল যোগে অবৈধভাবে প্রবেশকালে ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয়রা। (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকালে লামা পৌর শহরের মিশনঘাট এলাকা থেকে ৮টি মোটরসাইকেলে করে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দূর্গম মংপ্রু পাড়ায় পৌঁছালে ১৪ রোহিঙ্গা ও তাদেরকে নিয়ে আসা সাহাবুদ্দিন নামে একজনকে আটক করে স্থানীয়রা রুপসীপাড়া সেনাক্যাম্পের কাছে হস্তান্তর করে। আইনী প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হতে গোপনে পালিয়ে এসে লামার মিশনঘাট এলাকায় জনৈক সাহাবুদ্দিনের হেফাজতে আশ্রয় নেয় ১৪ রোহিঙ্গা। সাহাবুদ্দিন কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টইটং এলাকার মিরাজ মিয়ার ছেলে। সে লামা-আলীকদমের দূর্গম পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহের কাজ করে। আটক সকলেই পুরুষ এবং তারা শ্রমিক সেজে পাহাড়ে প্রবেশ করছিল।
সাহাবুদ্দিন জানায়, সে আলীকদম বাজারের গাছ ব্যবসায়ী রাণী বেগমের লামা খালের আগায় দূর্গম কুরিং পাড়ার বাগানে কাঠ কাটতে ১৪ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাচ্ছিল।
ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ড্রাইভার মো. শাহীন বলেন, আমরা ৮টি মোটর সাইকেলে করে গাছ কাটার মাঝি সাহাবুদ্দিন ও ১৪জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মংপ্রু পাড়া যাই। সেখানে যাওয়ার পরে রোহিঙ্গাদের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং রোহিঙ্গা নিশ্চিত হতে পেরে তাদের আটক করে রুপসীপাড়া সেনা ক্যাম্পের নিকট হস্থান্তর করি।
প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। আটক ১৪ রোহিঙ্গারা নিজেদের রোহিঙ্গা দাবি করে বলে, তারা দূর্গম কুরিং পাড়ায় কাঠ কাটতে যাচ্ছে এবং কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হতে গোপনে পালিয়ে এসেছে।
রোহিঙ্গা আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, রুপসীপাড়া সেনা ক্যাম্প হতে ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।