৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে সমীকরণ

Khorshed Alam Chowdhury

আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ১২ ২০২০, ১৪:৩৯ | 1034 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

সৈয়দ মুন্তাছির রিমন- এই সমাজ ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত। যে বিভক্ত মানব সভ্যতাকে হত্যা করে চলছে। প্রতিদিন মানব সন্তানের বেচেঁ থাকার আত্নচিৎকারে আকাশ ভারী হয়। তবুও শাসন শ্রেণীর ঘুম ভাঙ্গেনা। আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে সকালের ঘুম ভেঙে পত্রিকায় দৃষ্টিগোচর করলে বিস্তারিত হলো-রাজধানীর পল্লবী এলাকায় পুলিশ কর্তৃক এক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে হয়রানীর ঘটনা ঘটেছে। তিনি একটি দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা “আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন” এর পরিচালক এস এম জীবন। তিনি তার অফিস থেকে কাজ শেষে রিক্সায় করে মিরপুর-১০ দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা অফিসে যাওয়ার সময় ব্লক-ডি, (পার্কের লাইন) মিরপুর-১২ এলে সিভিল ড্রেসে ৩ ব্যক্তি তার পথরোধ করে নিজেদের পুলিশ ও আনসার পরিচয় দিয়ে চেকিং করার কথা বলে। পুলিশের পোশাক না থাকায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম জীবন তাদের (পুলিশ) পচিয়পত্র দেখাতে বলেন এবং তারপর চেক করার কথা বলেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন জড় হতে দেখে কনস্টেবল রুহুল পুলিশের পোষাকের উপর থাকা সাদা শার্ট পড়া সিভিল ড্রেস দ্রুত খুলে ফেলে সাথে ব্যক্তি (সম্ভব পুলিশের সোর্স অথবা তাদের রিকশা চালক) এর হাতে দিয়ে চলে যেতে বললে লোকজন তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম জীবন হেনস্তার স্বীকার হলে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুক লাইভে বিষয়টি শেয়ার করেন। লাইভে স্পষ্টে সাদা কালারের সিভিল ড্রেসটি কনস্টেবল রুহুল এর হাতে দেখা যায়। ফেইজবুক লাইভে হেনস্তার বিষয়টি ফুটে ওঠে। হেনস্তাকারী পুলিশের নাম রুহুল। তিনি পল্লবী থানার কন্সটেবল পদে কাজ করেন। লাইভ ভিডিওচিত্রে থানার কন্সটেবল রুহুল নিজেকে পুলিশের অবস্থায় ছিল বলে দাবী করলেও স্থানীয়রা লাইভের মধ্যেই তা অস্বীকার করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হলে রুহুল অপর একজনকে ফোন করেন। ভিডিও চিত্রতে রুহুলের অন্য সহযোগিদের সিভিলে দেখা যায় এবং তারা ক্যামেরার সামনে তাদের চেহারা দেখাননি। ঘটনার কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থল এলাকায় ডিউটিতে থাকা পল্লবী থানার এস আই রাজিব সরকারি গাড়ী নিয়ে ঘটনাস্থল আসলে তিনি জোড়পূর্বক ফেইজবুক লাইভটি কেটে দেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেন। এতে স্থানীয়রা এস আই রাজিবের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এভাবে পুলিশ পথরোধ করে চেক করার নাম দিয়ে সিভিলে ও পুলিশের পোশাকে পথচারীদের হয়রানী করছে। কিছু অসাধু এস আই ও এ এস আই পুলিশের কন্সটেবল ও আনসার সদস্যদের দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে এভাবে হয়রানী করান এবং মাঝে মধ্যে নিজেরাও বিভিন্ন অপকর্ম করেন। পল্লবী থানার পুলিশের এমন হয়রানী, অপকর্ম ও অত্যাচার নতুন কিছু নয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ব্যক্তি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বলে হয়রানী করতে এসে পুলিশ নিজেরাই উল্টো ফেসে গেছে। কিন্তুু এখানে যদি একজন সাধারন ব্যক্তি থাকত তাহলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে হাজার হাজার টাকা আদায় করে ছাড়ত। এভাবেই একা পেয়ে পথচারীদের মাদক দিয়ে হয়রানী করা তাদের নিয়মিত ডিউটির অংশবিশেষ।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET