বাগেরহাট জেলা সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সুবর্ণা তালুকদারের বিরুদ্ধে আবারও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় রবিবার (২৩ জুন ) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সেবা প্রত্যাশীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুবর্ণা তালুকদার এই কমিউনিটি ক্লিনিকে যোগদানের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন। ক্লিনিকে আসা-যাওয়া করেন তার ইচ্ছামত, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। ক্লিনিক এর সাথে থাকা আত্মীয়ের মাধ্যমে ওষুধ সরিয়ে ফেলেন তিনি। সুবর্ণা তালুকদার অভিযোগকারীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্ব্যবহার শুরু করেছেন। কর্তৃপক্ষকে কিনে রেখেছে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না বলে বিভিন্ন জনকে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষ হলে সুবর্ণা তালুকদার গত ১৯ ও ২০ জুন-২৪ তারিখ ক্লিনিকে আসেনি। সেবা প্রত্যাশীগন ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নিতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিনা ছুটিতে কাউকে না জানিয়ে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এলাকায় এক বিশেষ ব্যক্তির সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। যা এলাকার সবাই জানে। বিষয়টি বেশ আলোচিত।
সুবর্ণা তালুকদার বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। তারই কারনে এই এলাকার জনসাধারণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে প্রতিষ্ঠানে একেবারেই অনিয়মিত। ঠিকমতো ওষুধ সরবরাহ করে না। তাছাড়া ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সে বিব্রত। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে শান্তি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের এসব্ অভিযোগ অস্বীকার করে সিএইচসিপি সুবর্ণা তালুকদার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয়দের সেবা দিয়ে থাকি। কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে বিনা কারণে অভিযোগ দিচ্ছেন। ঈদের পরের দিন ক্লিনিকে দেরিতে উপস্থিত হয়েছি এবং পরের দিন সভাপতি সাহেবকে জানিয়ে কয়েক ঘন্টা দেরিতে ক্লিনিকে উপস্থিত হয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার বকসী বলেন, রাজাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুবর্ণা তালুকদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us: