
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভোগী বিল্লাল হোসেন মিলন (৯) নিজ মাওনা এলাকার বুলবুল মিয়ার ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। ছোটকাল থেকেই সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাইন উদ্দিন একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি নগর হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ভুক্তভোগির মা নাছিমা ও এলাকাবাসীরা জানান, মাইনউদ্দিন মাস্টার তার বাড়ীর নির্মাণ কাজের জন্য কালারবাড়ী মোড়ের পাশে সোমবার ইটা বালি দিয়ে কাজ করছিল । এ সময় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মিলন ইটা বালী ও খোয়া গুলো নিয়ে খেলছিল। মাইনউদ্দিন মাস্টার তা দেখতে পেয়ে ঐ প্রতিবন্ধী ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় রফিজ উদ্দিনের চায়ের দোকানে । চায়ের দোকানের জলন্ত চুলায় সে প্লাষ্টিকের বোতল পুড়িয়ে ছেলেটির হাতে ছ্যাঁকা দিয়ে দেয়, এতে তার হাত ঝলসে যায়। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ক্ষতস্থানে পানি লাগিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে মাস্টার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাইন উদ্দিন মাষ্টারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ঘটনাটি শুনে আমি তাৎক্ষনিক সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন্নাহারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি,তিনি তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবেন।
শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ জানান, এ বিষয়ে থানায় কেই কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।