
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় উঠান লেবু চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। পরিত্যক্ত জমি, বাড়ির উঠান এমনকি বাসাবাড়ির টবেও লেবু চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কামারখন্দের কৃষকেরা। লেবু চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর সহ, বাজারে এর অনেক চাহিদা থাকায় ক্রমেই লেবু চাষ করতে আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে এখানকার কৃষকদের। যার ফলে সকল পেশার মানুষের উঠান লেবু চাষের আগ্রহ বেড়েছে।
যে কোন পরিবেশের মধ্যেই উঠান লেবু চাষ করা সম্ভব, অল্প খরচেই চারা লাগানো থেকে শুরু করে নিজেরাই পরিচর্যা করা যায়। কাগজি, এলাচি ও কলম্বোসহ বিভিন্ন জাতের লেবু। চারা রোপণের ১৪ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এসব গাছে ফলন আসতে শুরু করে। আর প্রতিটি গাছ থেকে লেবু পাওয়া যায় অন্তত ৫ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত। চাষিরা জানান, চারা বপনের দুই বছর পর লেবু ধরতে শুরু করে।
অল্প খরচে অধিক লাভের কারণে বারি লেবু-১ বারি লেবু-২ বারি লেবু-৩ বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির পরিত্যক্ত আঙ্গিনায় ৫/৭ টি কাগজি লেবুর চারা সংগ্রহ করে লাগানোর পর এখন সাফল্য দেখা দিয়েছে তাদের। পরিবারের চাহিদা সহ আর্থিকভাবে আয় হচ্ছে। যাতে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ টা তেমন করতে হয় না, একটু পরিচর্চা করলেই রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা যায়। এছাড়া সারা বছরই কমবেশি লেবু বিক্রি হয়।
কামারখন্দের স্কুলশিক্ষক রবি বলেন, আমি পেশায় শিক্ষকতা করি, বাজারে লেবুর প্রচুর চাহিদা দেখে, শখের বসে অবসর সময়ে বসে না থেকে নিজের বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গাতে ১০০ চারা লাগিয়েছি। যাতে জৈব সারের প্রয়োগ ও নিজেই পরিচর্চা করে থাকি। বর্তমানে আমার গাছের বয়স ১১ মাস, কিছু কিছু গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। নিজেদের চাহিদা সহ বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
কামারখন্দে উঠান লেবু চাষ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, আমাদের উপজেলাতে এখনো বাণিজ্যিকভাবে কোন লেবু চাষ হচ্ছে না। তবে উঠান লেবু চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। উঠানে লেবু চাষে যদি তারপরও কোন পরামর্শ লাগে আমরা অবশ্যই দিব। উপজেলার প্রায় এলাকাতেই উঠান লেবু চাষের ব্যাপকতা বেড়েছে।
Please follow and like us: