সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, বন হরিণের তৃতীয় প্রতিনিধি নায়লার উপস্থিতি অত্যন্ত অদ্ভুত। এটি অ্যান্টিলোপ প্রজাতির। এটি প্রায় একটি ছোট কুদু থেকে বৃদ্ধি পায়, শিং সামান্য কোঁকড়ানো, ৮০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যে পৌঁছে। পুরুষ এবং মহিলাদের রঙ আলাদা পুরুষদের মধ্যে এটি ডার্ক, ধূসর-বাদামী, মহিলাদের মধ্যে এটি লাল। দুপাশে, কুদুর মতো, সাদা ট্রান্সভার্স স্ট্রাইপ রয়েছে। নায়লার পরিসর ছোট এটি মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে। এই হরিণটি শুকনো পাহাড়ি মালভূমিতে বাস করে, পাথুরে সমতল ভূমিতে কাঁটাযুক্ত ঝোপ, গ্যালারি বন, কিন্তু এটি সর্বদা পানির কাছাকাছি পাওয়া যায়। এরা খুব ভোরে বা সন্ধ্যার সময় চরে, যখন তাপ কমে যায় এবং খাবারের সন্ধানে তারা অবিরাম গতিতে থাকে। বেশিরভাগ অ্যান্টিলোপের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের ঘাস, চিরসবুজ গুল্মগুলির পাতা এবং তরুণ গাছের কান্ড থাকে। কিছু হরিণ শেওলা, ফল, ফল, লেবুর বীজ, ফুলের গাছ এবং লাইকেন খায়। কিছু প্রজাতি খাবারে নজিরবিহীন, অন্যরা খুব নির্বাচনী এবং কঠোরভাবে নির্দিষ্ট ধরণের ভেষজ ব্যবহার করে, যার সাথে তারা পর্যায়ক্রমে খাদ্যের মূল উৎসের সন্ধানে স্থানান্তরিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, এই পার্কে ইতিপূর্বে আরো একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। তবে সেসময় শেয়ালে সেটি খেয়ে ফেলে। এদিকে বয়স্কজনিত কারণে একটি পুরুষ নায়ালা সম্প্রতি মারা যায়। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হলেও প্রথমদিকে তার দেখা মেলেনি। সম্প্রতি পার্কের জেব্রা বেষ্টনীর সাথে এ শাবক ও তার মাকে দেখা যায়। কাছে যেতে না পারায় এখনও জন্ম নেয়া শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। ঘন বন ও ঝোপঝাড়ে থাকার কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরী হয় এ প্রাণীর শাবক জন্মের পর। শিয়াল ও অন্যান্য হিং¯্র প্রাণীর আক্রমনে মারা যাওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও বেচে থাকে এ প্রাণী।
তিনি আরোও বলেন, দেশী ও বিদেশী নানা প্রাণীর সমহার এখন আমাদের সাফারী পার্কে। দর্শনার্থীদের বিনোদন ও অজানা প্রাণীর সাথে পরিচয়ের এক দ্বার খুলে দিয়েছে এই পার্ক। বিদেশী প্রাণী নায়ালা থেকে ইতিপূর্বে একটি শাবকের জন্ম হলেও শিয়ালের আক্রমনে সে মারা যায়। এবার জন্ম নেয়া এ প্রাণীটি নিজস্ব নিরাপত্তায় বড় হচ্ছে।