কুড়িগ্রাম থেকে, রাশিদুল ইসলাম ঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলাধীন অধনালুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ার ছড়ার শেখ ফজিলাতুন ন্নেছা দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দাশিয়ার ছড়ায় ২০১৫ সালে স্থাপিত শেখ ফজিলাতুন ন্নেছা দাখিল মাদরাসায় সুপার পদে চাকুরী গ্রহণ করেন উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদরাসার এমপিও ভুক্ত সহকারী মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। নব প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসায় চাকুরি দেওয়ার নাম করে ১২ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা অনুদানের নামে লুফে নেন। পরে নিয়োগ ও মাদরাসার অনুমোদন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের কারণে তৎকালীন সভাপতি আলতাফ হোসের স্বাক্ষর জাল করে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া ভূয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন।
এছাড়াও বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপন করা শিক্ষকও কর্মচারীরা মাদরাসার একাডেমিক স্বীকৃতির কোন অগ্রগতি না দেখে তাদের প্রদত্ত টাকা পয়সা ফেরত দাবি করলে সুপার আমিনুল ইসলাম নানা প্রকার টালবাহনা করে ও পর্যাক্রমের শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে।
আরো জানা গেছে, এক লক্ষ টাকা দিয়ে ছয় মাস ক্লাশ নেওয়ার পরও মোর্শেদা বেগম নামের এক শিক্ষিকা নিয়োগ না দিয়ে অন্য একজনকে বেশি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। টাকা আদায়ের জন্য মোর্শেদার পরিবার সুপারের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ করেন।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠা লগ্নের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, শিক্ষক ও কর্মচারীর টাকা লোপাটর জন্য আমাকে অপকৌশলে সভাপতি পদ থেকে বাদ দিয়ে সুপার আমিনুল ইসলাম তার বাবা আব্দুর রহমানের নাম সংযোজন করে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন করে স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে সুপার আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠান করার স্বার্থে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। জাল স্বাক্ষরের বিষয় সর্ম্পূণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের কাজী বাংলাদেশের খবরকে বলেন- সুপার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।