৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • রংপুর
  • টাকায় কেনা সাংবাদিক হবে না রুহিয়ার “আনোয়ার হোসেন”




টাকায় কেনা সাংবাদিক হবে না রুহিয়ার “আনোয়ার হোসেন”

মোঃ ইনামুল হাসান নাইম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ,ঢাকা।

আপডেট টাইম : অক্টোবর ০৬ ২০১৯, ০৮:৪৫ | 2073 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

রুহিয়া প্রতিনিধিঃ
উত্তর বঙ্গের হিমালয় পাহাড়ের কাছাকাছি রুহিয়ার অবস্থান। রুহিয়ায় মধুপুর ৮নং ওয়ার্ডে ১২অক্টোবর ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। তার পিতার নাম মোঃ পসারউদ্দীন, মাতার নাম মোছাঃ মমেনা খাতুন। ভাই বোনের স্থান থেকে ছিল আনোয়ার দশম। তারা ছিল সাত বোন এবং তিন ভাই। পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই এখনো বেঁচে আছে। আনোয়ারকে নিয়ে তার পরিবারের সবার অনেক স্বপ্ন। তার বাবা মায়ের আশা ছিল সমাজে সে মানুষের মত মানুষ হবে এবং সাধারণ মানুষের মতো সৎ জীবন যাপন ধারণ করবে। এদিকে আনোয়ারের স্বপ্ন ছিল ২টা, প্রথমটা হল সে একজন ডাক্টার হবে, দ্বিতীয়টা হল সে একজন আর্ট কন‌্যার হবে। এর জন‌্য আনোয়ার সব সময় ভালোভাবে লেখাপড়া করতো, সাইন্স নিয়ে যখন সে নিউটেনে উঠল তখনো তার মেধা ও আর্টিষ্টগুলো খুব ভালো ছিল। সে যে কোন চিত্র অঙ্কনে প্রথম স্থান করতো। হঠাৎ একদিন তার পরিবারে এক দূর্ঘটনা কেড়ে নিল তার সব স্বপ্ন। সে নিজেকে নিয়ে এখন আর কোন স্বপ্ন দেখেনা। কিন্তু এখন সে একজন সাংবাদিক। আর এই সাংবাদিক নিয়ে তার পরিবারের সবাই উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করেছে সাংবাদিক পেশা থেকে যেন সে বেড়িয়ে আসে। তারা বলেন সাংবাদিক নাকি খারাপ পেশা। এই পেশায় বেশি ভাগ মানুষ শত্রু হতে হয়। পরিবারের সেই কথাটিই আনোয়ারের জীবনে সঠিক হয়ে গেল। ২০১৫ সালে যখন সে এইচএসসি ব‌্যবসায় শাখা নিয়ে কোন রকম পাশ করল। সে ভেবেছিল আর লেখাপড়া করবে না, কিন্তু তার মেঝো ভাইয়ের চাপে সে ডিগ্রিতে বিএসএস বিভাগ নাম ঢুকিয়ে রাখল। সে কলেজের পাশাপাশি সাংবাদিক পেশায় নাম রাখল। বর্তমান ২০১৯ সালে তার ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা চলছে, ১২ অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে তার পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানান। আনোয়ার আশা করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে। সে বলে রেজাল্টের পর সে কোন পথে পা বাড়াবে। আনোয়ার জানান, বর্তমান সমাজে চতুর্দিকে অন‌্যায় এবং অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জর্জরিত। অনেক প্রশাসন ও সাংবাদিক অন‌্যায়, অপকর্ম ও অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জর্জরিত এমনো খবর এবং প্রমাণ ও সংরক্ষণ করেন। তিনি বলেন বেশি ভাগ সাংবাদিক এবং প্রশাসন মিথ‌্যার পক্ষ নিয়ে সত‌্যকে ঢেকে রাখে। তিনি বলেন তার সহকর্মী ছোট্র ভাই পেশাগত দিক দিয়ে তার চাইতে অনেক সিনিয়র ছিল, সে তাকে বলেছিল আপনি সাংবাদিক তখনই হবেন যখন আপনার পকেটে তিন প্রকার ভাবে টাকা ঢুকবে,তার মধ‌্যে প্রথমটা জমি সংক্রান্ত বিষয়, দ্বিতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে সত‌্য ঘটনা চাপা রাখার বিষয়, তৃতীয় মৃত ব‌্যক্তির বিষয় টাকা খাওয়ানো এই হচ্ছে সাংবাদিকের কাজ। আনোয়ার সাংবাদিক না হওয়ার পূর্বে এসব বিষয় জানত না। তিনি জানত সাংবাদিক মানে জীবন যুদ্ধ, যা নিজের জীবনের পরোয়া না করে সত‌্য ঘটনা তুলে ধরবে। তিনি এখনো পর্যন্ত ভেবে উঠতে পারিনি যে পেশা হিসেবে কি নেবে সাংবাদিক না অন‌্য কোন। কি করলে তিনি তার ভবিষৎ জীবন কাটাতে পারব। তিনি জানতে চায় একজন ভালো সাংবাদিক হওয়ার জন‌্য তাকে কি কি করতে হবে বা গুণ থাকার প্রয়োজন, তার আমার মাঝে সেই সব আছে কিনা। তিনি বলেন এখন সাংবাদিক মানেই সাংবাদিকেই ল‌্যাঙ মারা। আসলে এমনটা করা বা ভাবা একজন সাংবাদিকের মধ‌্যে পরে না। তিনি আরো বলেন সাংবাদিক একটি মহৎ পেশা। সাংবাদিকদের জাতীর বিবেগ বলা হয়। দেশের সব স্থানেই সাংবাদিকদের অবস্থান আছে। গণতন্ত্র সার্থকতার জন‌্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ‌্যে, দুস্থ মানুষদের পাশ্বে দাড়ানো, এবং সমাজের অন্ধকার দিকটা জনসম্মুখে উম্মোচন করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা অনিবার্য বা অদ্বিতীয়। শুধু তাই নয় রাষ্ট্রের সকল বিভাগ যে দ্বায়িত্ব ও কর্তব‌্য সম্পাদন করে জনসম্মুখে তুলে ধরার দ্বায়িত্ব সাংবাদিকদের। যেখানে তিনি কিছু কিছু সময় দেখতে পাই যে মন্ত্রী থেকে প্রজা পর্যন্ত কর্মিদের সকল দ্বায়িত্ব পালনের ভূলত্রুটি তুলে ধরতে পারেন এবং মহুত্বের মধ‌্যে ভাইরাল করতে পারে একমাত্র সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা সহজেই পারে একজন কুচক্র মানুষকে সমাজের জনসম্মুখে উম্মোচন করতে। মূলত এই কথায় মাথায় রেখে তিনি সাংবাদিকতায় অংশ গ্রহণ করেন। তার সাংবাদিকতার অভিকতা আজ থেকে প্রায় দুই বছর ছয় মাস। এর মধ‌্যেই রয়েছে তার জীবনের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-আনন্দ। তিনি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভাবে জ্ঞান ও অভিকতা অর্জন করে থাকেন। এর মধ‌্যে তার জীবনের প্রথম পত্রিকায় কাজ শুরু করেন দৈনিক “বাংলাদেশ সময়” রুহিয়া থানা প্রতিনিধি হিসেবে তার কাছে কার্ডের মূল‌্য নিয়েছে তিন হাজার টাকা। কিছুদিন পর আবার দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় কার্ডের মূল‌্য এক হাজার টাকা। এখন তার প্রশ্ন তাহলে কারা দিবে সৎ ও আদশ‌্যবান সাংবাদিক উপহার, তিনি এটা ঠিক বুঝতে পারেনি এখনো পায়না। তিনি বলেন বর্তমান সমাজে মাঠে নামলে দেখা যায় সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের বিশ্বাস করতে না পেরে বন্ধু না ভেবে শত্রু মনে করেন। আবার কারো কারো মু​খে শুনে সাংবাদিকরা নাকি সাংঘাতিক ও দালাল। এই কথা তিনি বিশ্বাস করতো না, যার ফলে তিনি গোপনে এর প্রমাণ তিনি খুজে বাইর করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি নিজেই সাক্ষি ও প্রমাণিত। তিনি এ কথাও বলেন সাংবাদিকরা এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে তারা টাকা ও নিজের স্বার্থের জন‌্য সত‌্যকে গোপন রাখে মিথ‌্যাকে সত‌্যরুপে প্রকাশ করেন। ঠিক একটা উপন‌্যাসের মত। তারা সঠিক সময় ন‌্যার্য টাকা পেলে সত‌্য ঘটনা দেখা ও শুনার পরেও চুপচাপ থাকেন এবং অজানার ভান করেন। সাধারণ গরিব ও অসহায় মানুষদেও উপর তারা হুমকি ও ভয় দেখায় টাকা আদায় করেন। সাংবাদিকরা সমাজের কিছু উচু মানুষদের কাছে বিক্রি হয়ে গোলাম হয়ে থাকেন। তাদের কথা মত উঠা-বসা করেন এবং তাদের কেস নিয়ে লড়েন। প্রয়োজনে টাকা খেয়ে পত্রিকায় প্রতিবাদ দেন। এটাও প্রমাণ করেন যে একদল সাংবাদিক দেশে ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে নগদ অর্থে বিক্রি হয়, যা তার কাছে অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলেন অনেক জায়গায় দেখা এবং শুনা যায় সাংবাদিকতার নাম ছড়িয়ে অনেক সাংবাদিক মাদক ব‌্যবসায় জর্জরিত। যাতে কোন মানুষ বুঝতে না পারে এবং প্রশাসন ধরতে না পারে। তিনি বলেন সহকর্মীরা তাকে সাথে রাখতে চায় যার ফলে তারা বড় টিম দেখিয়ে ভালো মত ব‌্যবসা শুরু করতে পারে। বাস্তবেই তা সঠিক ছিল তার আইডিয়াটা। অনেকেই প্রথম সারির পত্রিকার লোভ দেয় এবং বলে তুমি আমার কথা মত চললে বা পা ফেলালে আমি তোমাকে অমুক অমুক পত্রিকার প্রতিনিধি করে দিব। তিনি মানুষের কথা শুনেতে পছন্দ করেন বলতে নয়। পরিশেষে তিনি বলেতে চায় মানুষের টাকায় কেনা সাংবাদিক হয় না। তাই তিনি সব সময় চেষ্টা করেন সৎ থেকে বস্তুনিষ্ঠা সংবাদ তুলে ধরার। সবার কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন যাতে করে সে একজন সৎ আদর্শবান সাংবাদিক হয়ে উঠতে পারেন।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET