
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
নড়াইলের দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নিহত শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫২)এর লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার বাদ জুম্মা দিঘলিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে কুমড়ি গ্রামের মধ্যপাড়া গোরস্থানে নিহত শেখ লতিফুর রহমান পলাশ এর লাশ দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার(অতিঃ ডিআইজি) সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম মুন, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, জেলা পরিষদের সদস্য ও নিহত চেয়ারম্যানের ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নিহতের অপর ভাই মুক্ত রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী বণি আমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সরদার আব্দুল হাই প্রমুখ। জানাজার পূর্বে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, দুর্বত্তরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাবো। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি এবং কোন অভিযোগ জমা হয়নি বলে জানান লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ এর দিকে উপজেলা পরিষদের পরিসংখ্যান অফিসের পাশে রাস্তার মোড়ে শেখ লতিফুর রহমান পলাশ কে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বত্তরা। জানাজায় হাজার হাজার লোক অংশ নেন। কুমড়ি গ্রামের প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আগেই শেখ লতিফুর রহমান পলাশকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারাই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি।