মোঃ হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)থেকে;
বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয উৎসব শারদীয দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ শনিবার। এ দিন থেকেই শুরু দেবী পক্ষের।শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্ব পূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।পুরাণমতে এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গা পূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।আগামী ৪অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত শনিবার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজারআগমণ ধ্বনি শুনতে পাবেন। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারা দেশে ন্যায় দিনাজপুর ফুলবাড়ী বেশ আড়ম্ব রের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে।২৮ সেপ্টেম্বও শনিবার ভোরে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহর থেকে শুরু করে উপজেলার সকল পুজা মন্ডবের মন্দিরে এ উপ লক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুর মর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত আসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতা দের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ববহ্মাম্মের অধীশ্বর হতে চায়।ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া‘ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা নয় দিনব্যাপি যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরু ষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন।সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মতের্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া।
পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি।