এ সময় অফিসে গিয়ে দেখা যায় দুজন পাসপোর্ট সেবা গ্রহীতা যাদের কাছ থেকে শাওন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর ইশ্রাফিল হোসেন ১০,৫০০/- টাকা নিয়েছেন পাসপোর্ট করে দেবার জন্য। উল্লেখ্য প্রতিটি রেগুলার পাসপোর্ট এর জন্য সরকারি ফি ৩,৪৫০/- টাকা। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ফাইল কেবিনেটের ড্রয়ার থেকে ডা. আকবর আলি, কনসাল্টেন্ট মেডিসিন, আধুনিক সদর হাসপাতাল; ডা. নূরের আলম, কনসাল্টেন্ট মেডিসিন, আধুনিক সদর হাসপাতাল; মো: কামাল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, সোনাগাজী সরকারি কলেজ এর নামে তিনটি সিল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান এগুলো ভুয়া সিল। এই নামে কোন ব্যক্তি নেই।
জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিষ্ঠানটির মালিক অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান মাসুদ আরো বলেন, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসকে দিতে হয় ১১০০ টাকা। এই টাকা সংগ্রহ করেন ফেনী পাসপোর্ট অফিসের জাকির নামে এক ব্যক্তি। তিনি অফিসের কর্মচারি নন ; তবে তিনি দালাল থেকে এই টাকা সংগ্রহ করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান মাসুদ আরো বলেন, ডিএসবির পক্ষ থেকে আউয়াল নামে একজন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য প্রতি পাসপোর্ট থেকে ৭০০ টাকা নিয়ে যান।
আদালত মাকসুদুর রহমানকে ১ মাস ও ইস্রাফিল হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। এ সময় মাসুদকে ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়।
এ অভিযানে ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।