মোঃ আউয়াল হোসেন পাটওয়ারী, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ- রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার বছর থেকে ৩শ শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের করুন দশা দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি ও আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. আনোয়ার হোসেন খান। স্কুলটি মেরামতের জন্য তিন লাখ টাকা অনুদান প্রধান করে দায়িত্ব নেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে তার আগের দিন রাতে জামায়াত-শিবিবের নেতা কর্মীরা তান্ডব চালিয়ে আগুন দিয়ে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জ্বালিয়ে দেয়। এতে চেয়ার টেবিল, আসবাবপত্রসহ সকল কিছুই পুড়ে যায়। গত ৪ বছর যাবৎ রোদবৃষ্টি, গরম, ঝড় মাথায় নিয়ে শিক্ষক আর কমলমতি শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নীচে লেখাপড়া চালিয়ে গেলেও দেখার কেউ ছিলনা। বৃহস্পতিবার উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন নয়নপুর গ্রামের গরীব, দুস্থ অসহায় সহ¯্রাধিক মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, নগদ টাকা বিতরণ করেন।
এ সময় স্কুলটির বেহাল দশা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অমানবিক কষ্ট দেখে উক্ত স্কুলের জন্য ৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদান আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ভবন মেরামতের কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ১৯৬৫ সালে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুর হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণ করা হয়। জামায়ত শিবির তান্ডব চালিয়ে স্কুলটি ভাংচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্কুল ভবনটিতে দরজা-জানালা ও ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি হলে শ্রেনী কক্ষে পানির টেউ খেলে। কোমলমতি শিশুরা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান নিচ্ছে। ড. আনোয়ার খানের দেওয়ায় টাকায় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা সবাই খুশি হয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড.আনোয়ার খান জানান, কমলমতি শিক্ষার্থীদের করুণ দশা দেখে ভাল লাগে নি। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে চেয়ার, টেবিলসহ স্কুল মেরামত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.দৌলতের রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্ধ পেলে নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হবে। কক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনেক সমস্যা ছিল। ড. আনোয়ার খান ব্যক্তিগত টাকায় মেরামতের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।