
এম.মনসুর আলী, সরাইল( ভাটি-অঞ্চল) থেকেঃ- ফেসবুক কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে যখনই খবর পান কোন মুমূর্ষু রোগীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্ত লাগবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান নির্দিষ্ট হাসপাতালে। রক্তের গ্রুপ মিললেই হাসিমুখে দেন রক্ত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে। জানতে পারলেই রাত ২টা,৩টা নয়-রক্ত দেয়ার নেশায় তিনি ছুটেন হাসপাতালে। শুধু নিজের শরীর থেকে রক্ত দেয়ার মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ নয়, অন্যের জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন সংগঠনে ফোন করে রক্ত সংগ্রহও করে দেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্বেচ্ছায় রক্তদানের এ কাজটি নিরবে করে যাচ্ছেন সরাইল উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান মো.শেরআলম মিয়া। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মূমূর্ষূ রোগীকে বাঁচানো ও রক্তদানের ভীতি কাটিয়ে মানুষকে উৎসাহী করাই তাঁর লক্ষ্য। ভাইস চেয়ারম্যান শেরআলম মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে অনেকবার দেখেছি জরুরি প্রয়োজনে মানুষ রক্তের জন্য ভোগান্তিতে পড়ে। অথচ প্রত্যেক রোগীর অনেক স্বজন থাকেন। তারা হয়তো রক্তদান করতে ভয় পান। অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যে রক্তদানে ভীতি দেখেছি। ভীতি কাটানোর জন্য আমি নিজে রক্তদানের ছবিটি ফেসবুকে আপলোড করি। যদি আমাকে দেখে কেউ সাহস পায় ,একজন মূমূর্ষ রোগীকেও রক্ত দেয় তাহলেই আমি স্বার্থক। শেরআলম মিয়াকে বলা হয় রক্তের ফেরিওয়ালা। তিনি ৫০ বার মূমূর্ষ রোগীকে রক্ত দিয়ে সরাইলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।