কোন কারণ ছাড়াই সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে বিভিন্ন পদে কর্মরত ৬৪জনকে চাকরিচ্যূত করায় হাসপাতালের দূর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বপন ও আর এমও ডাঃ রফিকুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে এবং আউটসোর্সিং কর্মীদের কর্মস্থলে পূর্ণবহালের দাবীতে চতুর্থদিনের মতো অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন পালন করেছেন চাকুরীচ্যুত্ব কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
গত ১৯শে আগষ্ট হতে হাসপাতালের সামনে ৬৪ জন কর্মীরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো কেউ এসে তাদের খোজঁখবর নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। মানববন্ধনে এ সময় বক্তব্য রাখেন আব্দুস শহীদ,সালমা বেগম, তৌহিদ মিয়া,জহির মিয়া, শাহিনা আক্তার কলি,মিজান,তামান্না সখিনা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে তারা বলেন, আউট সোর্সিংয়ে ২০১৭ সাল থেকে টেন্ডার প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে এই ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আয়া,পরিচ্ছন্নকর্মী,ওয়ার্ডবয়,সি কিউরিটি,নাইট গার্ডসহ বিভিন্ন পদেএই ৬৪ জন কর্মী চাকুরী করে আসছিলেন । চলতি বছরে আমাদের চাকুরীর মেয়ার থাকার পরও তিনমাসের বকেয়া ৩০ লাখ টাকা বেতন পাওনা থাকার পরও এই দুই কর্মকর্তার অনৈতিক ঘোষ দিতে রাজি না হওয়াতে কোন কারণ ছাড়াই একদিনের নোটিশে আমাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে বলে তারা জানান।
পূনরায় জনপ্রতি আরো একলাখ টাকা করে ঘুষ দিলে তাদের চাকুরী থাকবে নতুবা চাকুরী চলে যাবে বলে তত্বাবধায়ক এবং আর এমও এমন নিদের্শনা দিয়েছেন বলে দাবী তাদের। এতে কর্মীরা প্রতিবাদ করলে এই দুই কর্মকর্তা একদিনের নোটিশে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করে দেন বলে এমন অভিযোগ সাংবাদিকদের নিকট জানান তারা।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের আর এমও ডাঃ রফিকুল ইসলাম গেল করোনাকালীন সময়ে এই হাসপাতালে কর্মরত ৬৪ জন কর্মীর সুরক্ষার জন্য সরকার থেকে কয়েকলাখ বরাদ্দকৃত আসলেও সুকৌশলে হাসপাতালের আর এমও ডাঃ রফিকুল ইসলাম কর্মীদেরকে টাকা দিবেন বলে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সেই টাকাগুলোও রফিকুল ইসলাম আত্মসাত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। জেলার বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আউট সোর্সিংয়ে কর্মীরা কর্মরত থাকলেও কোন কারণ ছাড়াই কেন আমাদের চাকুরীর মেয়াদ থাকার পরও আমাদেরকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। অবিলম্বে এই র্দূনীতিবাজ তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান স্বপন এবং আর এমও ডাঃ রফিকুল ইসলামের র্দূনীতির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও জেলা প্রশাসনের নিকট দাবী জানান তারা। এদিকে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান হাসপাতালে একটি দালালচক্রের মাধ্যমে জেলার বাহিরে তার ব্যক্তিগত দুটি ক্লিনিকের ব্যবসায় রোগী নিয়ে বানিজ্য করে আসছেন বলে ও আভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আর এমও ডাঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে করোনাকালীন সময়ে এই সকল কর্মীদের নামে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মাসাতের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান স্বপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘোষ দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
Please follow and like us: