সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয় ৫হাত দরত্ত্বে গড়ে উঠেছে ২টি পোল্ট্রি ফার্ম। সামন্য আরেকটু দুরত্ত্বে গড়ে উঠেছে একই মালিকের আরো দুটি পোল্ট্র ফার্ম। এসব পোল্ট্রি ফার্মের সকল মরা মুরগী ও ফার্মের আবর্জনা ফেলা হয় পাশের ডোবাগুলোতে। এসব ডোবাগুলোতে মরা মুরগী পঁচে তৈরি হয় বিষাক্ত গ্যাস ও দুর্গন্ধ। যার ফলে এলাকার মানুষজন ও স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরদের পড়লেখা এবং স্বাস্থ্য মরাত্মক ঝুঁকিতে। এ দুর্গন্ধে মানুষজন অতিষ্ট হয়ে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে।
এলাকাবাসী জানায়, মুরগীর ফার্ম নিঃসন্দেহে একটি শিল্প কিন্তু এখন এখানকার এ ফার্ম মানুষের মরন ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আরেক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জানান, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কখনও জনগনের ক্ষতি হয় এমন কাজ করতে পারেনা। মরা মুরগী কখনও উন্মুক্ত জায়গা অথবা ডোবায় ফেলা উচিত নয়। এটি মাটির নীচে ফুঁতে রাখারই নিয়ম। এটি মানুষের যেমন ক্ষতি হয় তেমনী তার প্রতিষ্ঠানেরও ক্ষতি। সুতারাং স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নজরদারিতে রাখা উচিত।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বিপুল ও আজাদ জানান, আমরা যাকে দায়িত্ত্ব দিয়েছি সে সঠিকভাবে কাজটি করেনি। আমরা এ ময়লা আবর্জনা সরানোর চেষ্টা করছি।
স্কুলের এত কাছে ফার্ম তৈরির বিষয়ে বলেন এতে তেমন কোন ক্ষতি নেই। তাছাড়া কোন গন্ধ আমাদের নাকে লাগছেনা।
এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বিধি সম্মত ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
একজন সিনিয়র আইনজীবি বলেন এ ধরনের কর্মকান্ড একটি ফৌজদারী অপরাদ যা পাবলিক নুইসেন্স এর আওতায় বলে গন্য করা হয়। সুতারাং এ কর্মকান্ডের জন্য তাদের আইনের আওতায় এনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।