খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড অফিস ও বাস ভবনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নির্ধাতির সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গাতে অবৈধ ভাবে দখলকারীদেরকে দ্রততম সময়ের মধ্যে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলেও অবৈধ দখলকারীরা সরে না গিয়ে সরকারি উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উপজেলা প্রশাসন অবকাঠামো নির্মান কাজের অগ্রগতি করতে পারছেনা প্রশাসন।সরকারি মালিকানাধীন খাসখতিয়ানের জায়গা,সরকারের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে,এখানে কারো আপত্তি না থাকার কথা থাকলেও নির্ধারিত জায়গাটি দখলমুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসকে পক্ষ থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে,খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মনজুরুল আলম মানবিক আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দুপুর সাড়ে ১২টায় যান সরকারি খাস খতিয়ানে অবৈধভাবে বসবাসরত রমজান বানুর বাড়ীতে।
এসময় রমজান বানু নামে মহিলাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।ঘর ছিল তালাবদ্ধ।তাছাড়া নির্ধারিত জায়াগা অবৈধ দখলকারী বাকী ৪ পরিবারের ৩ পরিবারের ঘর ও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন, মুকুল বড়ুয়া, সফিকুর রহমান ও মো: আনোয়ার হোসেন।কামরুন নাহার নামে মহিলার স্বামী মো: মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।রমজান বানুকে ঘটনাস্থলে না পেয়ে গুইমারা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরাকে মানবিক আর্থিক সহযোগিতার টাকা রমজান বানুকে পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসময় গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা,গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীম চেšধুরী,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কংজরী মারমা,গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরাসহ উপজেলা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিককর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মনজুরুল আলম বলেন,সরকারি মালিকানাধীন খাস জায়গা সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হবে,এখানে কারো কোনো আপত্তি না থাকার কথা থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে রমজান বানুকে আর্থিক সহযোগিতাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হলেও সে,সহ অন্যরা প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
সচেতন মহল মনে করেন, গুইমার উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গাটি মূলত সরকারি খাস জায়গা। উপজেলার স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য স্থানীয় কিছু দুষ্টচক্র জায়গাটি দখল করে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার পায়তারা করছে। এছাড়াও বর্তমানে স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার জন্য নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মহলটি। যা পূর্বে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।