জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আবুল হাসনাত মু: আবদুল হালিম বলেছেন, আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন আলেম-ওলামারা ইচ্ছেমতো ইসলামের কথা বলতে পারেনি। খুতবায় ইকামতে দ্বীনের কথা বলায় অনেক আলেম-ওলামাকে গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসনহ আ’লীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা দিয়েছিল। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও আল্লামা মামুনুল হকসহ আলেমদের অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছিল। হক কথা বলতে দেয়নি। এক কথায়-‘আ’লীগ সরকার আলেমদের কণ্ঠরোধের মাধ্যমে ইসলামকে বিলীন করতে চেয়েছিল’। দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর নতুন বাংলাদেশে আলেম-ওলামারা মনখুলে কথা বলতে পারছে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরের মতো আলেম-ওলামাদের সম্মান দিচ্ছে।
তিনি শনিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দারসুল কোরআন পেশ করেন মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট শায়েখ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মফিজুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম শামছুদ্দিন, কাছারিপাড়া মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কাইউম, উপজেলা জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীর, ছাত্রশিবির কুমিল্লা জেলা পূর্বের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রনি, আল বিরুনী চাইল্ড একাডেমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসেন সালেহী।
দোয়া পরিচালনা করেন আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের পীর মাওলানা গোলাম পরোয়ার সাঈদী। শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী এএনএম আবু তাহের ও ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা নুরুজ্জামান খোকন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মনির হোসাইন, শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, সহকারী সেক্রেটারী সামছুল আলম, আবদুস সাত্তার, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি রবিউল হোসেন মিলন, সেক্রেটারী ইকবাল হোসেন মজুমদার, ইউনিয়ন শিবিরের শাখা সভাপতি আবুল বাশার ও ফাহাদ হোসাইনসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত আলেম-ওলামাবৃন্দ। দীর্ঘ ১৮ বছর পর শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন আলেম-ওলামাবৃন্দ।