১৯৭৭ সালে এক কক্ষ বিশিষ্ট টিন সেডের আঁধা পাকা দালান নির্মান করা হয়। এর পর ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ৬৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৮ফুট প্রস্থ একটি দালান কোঠা নির্মান করা হলে কক্ষের মধ্যখানে পার্টিশন দিয়ে দু’টি শ্রেনী কক্ষে ভাগ করে-ই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন দালান কোঠার দেয়ালে বাইরে ও ভেতরে অনেকাংশে পেলাস্টার উঠে গেছে এবং ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এমন ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় আতংকের মধ্যে বিদ্যালয়ে পাঠদান মারাত্বক ব্যাহত হচ্ছে। গত বছর প্রাথমিক সমাপনি পরিক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন ও বর্তমানে এ বিদ্যায়টিতে প্রায় ২ শত ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। ডলি রানী তালুকদার নামে এক শিক্ষিকা একিই ইউনিয়নের চৌকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে থাকায় শিক্ষক সংকটও দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান করা হলেও এ বিদ্যালয়টি অদৃশ্য কারনে অবহেলায় পড়ে আছে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চন্দ একজন শিক্ষিকা ডেপুটেশনে থাকার কথা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শ্রেনী কক্ষ সংকট থাকায় পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবাশীষ দাস বলেন, বিদ্যালয়টির বেহাল দশার কথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। পরিত্যাক্ত দালান কোঠার দেয়ালে ফাঁটল ও পেলাস্টার উঠে গেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংস্কা রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে কোন ওয়াসবøক নেই। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান চলছে।
ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ দাস বলেন, ভবন নির্মানের জন্য বিদ্যালয়টি তালিকায় অন্তভুক্ত রয়েছে।