১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ঝিনাইদহে পিয়াজে আগুন, মরিচে মরণ! দেশের সর্বচ্চ মুল্যে ঝিনাইদহে এবার এক লাফে পিয়াজের কেজি ৩০০ টাকা, মরিচের দাম তলানিতে, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ!




ঝিনাইদহে পিয়াজে আগুন, মরিচে মরণ! দেশের সর্বচ্চ মুল্যে ঝিনাইদহে এবার এক লাফে পিয়াজের কেজি ৩০০ টাকা, মরিচের দাম তলানিতে, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ!

মোহাম্মদ হযরত আলী, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া,করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৭ ২০১৯, ০১:৫০ | 778 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিন প্রকারভেদে মণ প্রতি গড়ে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে তা ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন জেলাবাসিরা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। বর্তমানে পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা আর খুচরা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। জেলা শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসির উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সিন্ডিকেট করে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছে। সরকার বলছে দাম কমাব কিন্তু কিছুই তো করছে না। যত দুর্ভোগ আমাদের সাধারণ মানুষের।

একই অভিযোগ অন্যান্য ক্রেতাদের। তারা বলেন, পাইকারি তো এক দাম আছেই, আবার খুচরা বিক্রেতারা আরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ যেন রামরাজত্ব, যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা সোহাগ কুন্ডু জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। আর চাষিরা বাজারে পেঁয়াজ কম আনছে। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ কিংবা এলসি পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। জেলা বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান জানান, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজবাহী বেশ কয়েকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কয়েক দিনের ভেতরেই তা খালাস হবে। ফলে হিলি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। তাই আশা করা যাচ্ছে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, কিছু আগাম জাতের পেঁয়াজও কিছুদিনের ভেতরেই বাজারে আসবে যা দাম কমাতে ভূমিকা রাখবে। এদিকে ঝিনাইদহে মরিচের দাম তলানিতে গিয়ে পড়েছে। বাজারে মরিচ বিক্রি করে জমি থেকে উঠানোর মজুরি খরচই হচ্ছেনা। ফলে অনেক চাষি জমি থেকে মরিচ গাছ তুলে অন্য ফসল করার চেষ্টা করছেন। ভুক্তভোগি কৃষকরা জানান, গতকাল পাইকারি বাজারে সাধারনত মরিচ প্রতি কেজি ৭-৮ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। তবে মরিচের ধরন ভেদে ১৩-১৪ টাকা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ জমি থেকে মরিচ উঠানে প্রতি কেজি হিসাবে শ্রমিককে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানিতে মরিচ বিক্রি করতে আসা ফজলুর রহমান বলেন, প্রথম দিকে কয়েক দিন ভালো দাম থাকলেও গাছের বয়স প্রায় শেষের দিকে এখন প্রতিকেজি ৭-৮ টাকা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই জমি থেকে মরিচের গাছ উঠিয়ে অন্য ফসল করার সিন্ধান্ত নিয়েছি। বাজারের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ি রুস্তম আলি বলেন, এখন বাজারের বিভিন্ন ধরনের মরিচ আসছে। কেউ কেউ গাছ তুলে কাঁচা পাকা, ফুলো মরিচ তুলে নিয়ে আসছে। সে মরিচ গুলো বাজারে চাহিদা কম, আমাদেরও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই কম দামেই কিনতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় ১৫শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET