
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কালিবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দূনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। এঘটনায় গত ২৫/০৭/২৩ তারিখ জেলা প্রশাসকসহ ৬টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার রংপুর গ্রামের নিরঞ্জন বাগচীর ছেলে দিপংকর বাগচী , একই গ্রামের মৃত হারান হাওলাদারের ছেলে সুভাষ হাওলাদার ও সাড়াভিটা গ্রামের মৃত জয়দেব মন্ডলের ছেলে আশুতোষ মন্ডল প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন , তারা কালিবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। গত ২৬/০৬/২৩ তারিখ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে দুনীতি ও যোগসাজশের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সঞ্জয় মল্লিক দিলিপ কুমার মজুমদার নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে এবং হরিদাস চাঁদ বিশ্বাস নামে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। সভাপতি এর আগে ১২/১০/২২ তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক নৈশ্য প্রহরী, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া এই ৫ পদের মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে পরিতোষ মন্ডলের ছেলে সুব্রত মন্ডল, অফিস সহায়ক পদে সৌম্য সরকারের ছেলে জগদীশ সরকার,পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে পরিতোষ মন্ডলের মেয়ে পপি মন্ডল, আয়া পদে কার্তিক হালদারের মেয়ে দেবকি হালদার ও নৈশ প্রহরী পদে নিমাই মন্ডলের ছেলে সঞ্জিত মন্ডলের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছে। এছাড়া আরও তিন ব্যক্তির নিকট হতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ২২ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছে। এদিকে দুনীতির অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত ৫ টি পদের নিয়োগ স্থগিত করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু স্থগিত ৫ পদে নিয়োগের কোন সুষ্ঠু সমাধান না করে সে গুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে সভাপতি। এছাড়া রেজুলেশন ছাড়াই বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক ২ লক্ষ টাকা ও ৮১ হাজার টাকার পুকুরের মাছ বিক্রি করেও নিয়েছে। এ ঘটনায় সভাপতি সঞ্জয় মল্লিক বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে একটি টাকাও নেয়া হবে। পরীক্ষায় যে প্রার্থী ১ম হবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
Please follow and like us: