
কাজী ইফতেখারুল আলম:- ‘‘ নৈসর্গিকে ঘেরা প্রকৃতি, পূর্ণ যেন আমার বাংলা’’ দিনটা বৃহস্পতিবার,সকাল ৮টায় দাগনভূঁঞা থেকে গাড়ী ছাড়ল, উদ্দেশ্য শিক্ষকদের শিক্ষা সফর । স্থান : রামগড়, চা বাগান, হর্টিকালচার সেন্টার, ঝুলন্ত সেতু। আমি উঠলাম বেকের বাজার থেকে, আমাদের গাড়ীতে ছিলেন একজন ইউপি চেয়ারম্যান, একজন প্রভাষক, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউআরসি ইন্সট্রাকটর সহ পরিচিত অনেক মুখ। ইকবাল কলেজের প্রভাষক আব্দুল রহিম স্যারের পাশের সিট আমার জন্য বরাদ্দ ছিলো। গাড়ীতে উঠতেই নাস্তা দিলেন সাইফ স্যার আর পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে লটারি বিক্রি করছেন নিজাম স্যার। গান গেয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখছেন ইন্সট্রাকটর করিম স্যার, ভীষণ আনন্দ করতে জানেন তিনি । প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত দিন শেষে আজ যেন সবাই মুক্ত পাখি। সবাই যে যার মত করে গাইছে গান, ছুটছে দেখতে যে যার মত করে। দুপুর ১২টায় সবাই পৌছে গেল হর্টিকালচার সেন্টারে, সেখানে সবাই আবার হারিয়ে গেল আবার ঝরা পাতার দেশে, সেখানে গাছেরা সাজিয়ে রেখেছে হলুদ পাতার গালিছা। রোদে ঝলমলে নীরব পরিবেশ।শুকনো পাতার মর্মর মর্মর শব্দে আমাদের হাঁটায় নিস্তব্ধতা ভেদ করে যেন।সবাই হৈ হৈ কল্লোলে গাছগুলো অবাক হয় যেন, লিচু বাগনটার প্রাণে দোল দেয়। অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য। সবাই যে যার ছবি তোলায় ব্যাস্ত ছিলো। বিশেষ করে রহিম স্যার মনের সুখে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি তুলতে দেখা যায়। নবদম্পতি জুয়েল হাজারী ও আসমা উল হোসনা মোটরবাইক পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়ের উপর।করিম স্যার সবাইকে দেখালেন পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির সব ঐতিহ্যকে। দুপুরের খাবার বিরতি এলো।দুপুরের লান্স করতে আবার সবাই জোড় হলেন রামগড় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে, সেখানে আতিথিয়তায় ব্যাস্ত ছিলেন রোকেয়া ম্যাড়াম, কামাল স্যার, দাউদ স্যার, ফরহাদ স্যার।
রিসোর্স সেন্টার থেকে এবার সবাই হেটে চলে গেলেন ঝুলন্ত সেতু দেখতে । সেখানে গিয়ে আবার সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল। বিকিল হতেই আবার সবাই চলে গেল চা-বাগানে, আবারো সবাই ছবি তুলায় মেতে উঠে। চা-বাগান এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন সবাই, বাগানে বসেই লটারী কূপনের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। যানবাহনে শব্দ তুলে ঠিক চা-বাগানের ধার ধরেই ফিরলাম, গাড়িতে উঠতে ইচ্ছে করলোনা।