স্টাফ রিপোর্টার:ভুয়া বিএ পাশ সার্টিফিকেট প্রদর্শন করে চাকরি করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ফারুক আহমদ। সম্পূর্ণ জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ২০০৩ সাল থেকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আমিনা হেলালী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ট্রেড ইন্সট্রাকটর ড্রেস পদে কর্মরত আছেন ফারুক আহমদ। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার ও নিশ্চুপ রয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোঃ ফারুক আহমদ ২০০৩ সালের ৯ এপ্রিল থেকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আমিনা হেলালী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ট্রেড ইন্সট্রাকটর ড্রেস পদে কর্মরত আছেন। নিয়োগের সময় কর্মরত পদের জন্য বিএ পাশসহ ড্রেস মেকিংয়ে ডিপ্লোমা আবশ্যক থাকায় তিনি সিলেটের এমসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর বিএ পাশ সার্টিফিকেট কম্পিউটারে স্ক্যান করে এডিটের মাধ্যমে নিজের নাম যুক্ত করে দেন এবং এভাবে এমপিওভুক্তি লাভ করেন। অবৈধপন্থায় চাকুরিলাভকারী ফারুক আহমদের জব ইনডেস্ক নম্বর-১০১০৪৭১ এবং বেতন কোড-০৯।
অভিযোগে, ফাকরু আহমদ এমসি কলেজের জনৈক শিক্ষার্থীর বিএ পাশের যে সনদ স্ক্যান করে নিজের নামে দাখিল করেছেন সেই সনদের রোলং নং-১২৫২৯০, শিক্ষা বর্ষ-১৯৯৯ উল্লেখ করা হয়েছে। ফারুক আহমদ প্রতারণা করে চাকরি নিয়েছেন মন্তব্য করে অভিযোগকারী আবুল হাসনাত বলেন, দেশে শিক্ষিত-যোগ্য অথচ বেকার তরুণের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে। অথচ অযোগ্য হয়েও ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি লাভ করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া মেনে নেয়া যায় না। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে আমিনা হেলালী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের সুপারিনটেন্ডেন্ট বরাবর, ২০১৭ সালে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, একই বছর সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর, সিলেট এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হলেও অজানা কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবশেষে গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করতে বাধ্য হই। অভিযোগের বিষয়ে ফোন দেয়া হলে আমিনা হেলালী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের সুপারিনটেন্ডেন্ট মোঃ হেলাল আহমদ জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।